দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাঙালির জাতীর জাতীয় চেতনার সকল ইতিবাচক উপাদানের নির্যাস ৭২’-এর সংবিধান। কোনো রাজনৈতিক লেনদেন, গোপন শলাপরামর্শ বা সুযোগ-সুবিধার বিবেচনা থেকে এটি প্রণীত হয় নি। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই রচিত হওয়ায় এতে বাংলার মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন, সাধনা ও সংগ্রামসহ মহান মুক্তি-সংগ্রামের মর্মবাণী ও চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে। এই সংবিধান গণমানুষের সংগ্রামের অমোঘ শক্তি এবং ইতিহাসের গতিপথের মিলিত রূপ। ৭২’ -এর সংবিধানের একটি অখণ্ড রাজনৈতিক চরিত্র রয়েছে। একে কোনোভাবেই খণ্ডিত করা যায় না। আর এই সংবিধানের তাৎপর্য নিহীত রয়েছে চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, তথা- জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে।
৭২’ এর মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধই ছিলোনা, মুক্তিযুদ্ধ ছিলো কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র জনতার দীর্ঘদিনের মুক্তিকামী সংগ্রামের এক চুড়ান্ত রুপ। সাঁওতাল-গারো-হাজং প্রভৃতি আদিবাসীদের বিদ্রোহ, সন্নাসী ও ফকির বিদ্রোহ, সিপাহী বিদ্রোহ, মাষ্টারদা সূর্যসেন-প্রীতিলতা প্রমূখ বিপ্লবীর নেতৃত্বে সংঘটিত অগ্নিযুগের সশস্ত্র জাতীয় বিপ্লবী আন্দোলনসহ জনগনের বহুমাত্রিক সংগ্রাম ব্রিটিশ শাসনের ভিতকে কাঁপিয়ে তুলেছিলো। ’৪৭-এ ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটলেও সাম্প্রদায়িক ও দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অর্ন্তভূক্ত হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানি শাসকদের জাতিগত শোষণ, দমন-পীড়ন ও প্রতিক্রিয়াশীল নীতির বিরুদ্ধে বাংলার জনগন তীব্র সংগ্রাম গড়ে তোলে। '৫২, '৫৪, '৬২, '৬৪, '৬৬ এবং সবশেষে '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, আইয়ুব শাহির পতন, '৭১-এর নির্বাচন, ২১ দফা, ৬ দফা, ১১ দফা এসব সংগ্রাম ও গণদাবির মধ্য দিয়েই সৃষ্টি হয় '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি। বাঙ্গালীর বীরত্বপূর্ন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আসে এই মহান মুক্তিযুদ্ধ। তারপর দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেলাম লাল-সবুজের পতাকা ও স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ।
“স্বাধীন দেশে যে সংবিধান রচিত হয়েছিল ('৭২ সালের সংবিধান) তার প্রস্তাবনায় লেখা হয়, 'আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক-প্রতিষ্ঠা সমাজের যেখানে সব নাগরিকের জন্য ... রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ... নিশ্চিত হইবে।' রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল 'জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা, ... রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে।' এবং '... সাম্যবাদী সমাজ লাভ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করা হইবে।' আরো বলা হয়েছিল যে, 'রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হইবে মেহনতি মানুষকে ... এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি প্রদান করা।' এই সংবিধানে স্পষ্টভাবে 'পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশ', নাগরিকদের জন্য 'অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা', 'সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা', 'মানুষে-মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ' ইত্যাদির কথা এবং এমনকি নাগরিকদের প্রাপ্তি সম্পর্কে মার্কস-এঙ্গেলস রচিত কমিউনিস্ট ইশতেহার থেকে কোটেশন মার্কে উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়েছিল, 'প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী' এই ফর্মুলা হবে সামাজিক সম্পদ বিতরণের নীতি। '৭২-এর সংবিধান থেকে এই কয়েকটি উদ্ধৃতির মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চরিত্র”।--- মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
’৭২ এর সংবিধান প্রবর্তিত রাজনীতি, অর্থনীতি ছিল মেহনতি মানুষের স্বার্থে। সংবিধানের ৪ মূলনীতির আলোকে দেশ চলতে শুরু করে। যার ফলে দেশীয় লুটপাটকারী বুর্জোয়া শ্রেণী ও সাম্রাজ্যবাদী চক্র খুব্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্র শুরু করে। আওয়ামী লীগের তিন বছরের শাসনকালের মধ্যেই ক্ষমতাসীন দল ও নব্য শাসকশ্রেণীর সমগ্র অংশ লুটতরাজ, চুরি, দুর্নীতি, প্রতারণা ইত্যাদির মাধ্যমেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যা সামাল দেয়ার জন্য শেখ মুজিবকে চতুর্থ সংশোধনী পাস করতে হয়েছিল। চতুর্থ সংশোধনী বাস্তবায়নের আগেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ষড়যন্ত্রে বুর্জোয়া এবং সেনাবাহিনী এই দুই শ্রেণি বঙ্গবন্ধুকে স্পরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে মারার মধ্য দিয়ে মোস্তাককে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়ে ওই শ্রেণি তাদের স্বার্থের অর্থনীতি প্রবর্তন করে। দেশ চলতে থাকে ঊল্টোরথে। সেই ধারায় চলছে দেশ। হাসিনা চালাচ্ছেন। মোস্তাকের অর্থনীতির আলোকে দেশ পরিচালনা করে আর যা-ই-হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’কে বাদ দিয়ে একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে, অন্যদিকে সামরিক শাসনকে বৈধতা দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করার তাৎপর্যপূর্ণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই রায় বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জরুরি। স্বাধীনতাবিরোধীরা শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দেশকে বিচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করেছে। ’৭২-এর সংবিধানের পরিবর্তনগুলো তাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, পাকিসত্মানি আদর্শবান্ধব, প্রতিক্রিয়াশীল আদর্শের সঙ্গে মিলে গেছে। এর মধ্যদিয়ে এ বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে ’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা বিষয়টি তাই মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনা ও ধারা ফিরিয়ে আনার কর্তব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়। বাংলাদেশকে প্রগতি ও উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে হলে ’৭২-এর সংবিধানের মূলভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা অন্যতম প্রধান কর্তব্য।
বাহাত্তরের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার যে মূলনীতিগুলো_ অর্থাৎ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ ঘোষণা করা হয় তা কেবল ঘোষণাই ছিল না, ওই সংবিধানের বিধানেই বলা হয় যে, '... ওই নীতিসমূহ বাংলাদেশ পরিচালনার মূল সূত্র হইবে। আইন প্রণয়নকালে রাষ্ট্র তাহা প্রয়োগ করিবেন, এই সংবিধান ও বাংলাদেশের অন্যান্য আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে তাহা নির্দেশক হইবে এবং তাহা রাষ্ট্র ও নাগরিকদের কার্য্যের ভিত্তি হইবে...।'
রাষ্ট্রীয় মূলনীতি সম্পর্কে রাষ্ট্রের ও নাগরিকের কর্তব্যের ’৭২ সংবিধানের এই যে ঘোষণা, সেটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার মর্মবস্তুকে নির্দিষ্টরূপে হাজির করেছিল।
“৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে। কারণ এতে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের ৭২-এর সংবিধান প্রথমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৭২-এর চার মূলনীতির মাধ্যমেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের সাথে যে সব শক্তির একনিষ্ঠতা রয়েছে তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সংবিধান বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে আসতে হবে”----অ্যাড. সুলতানা কামাল।
“৫০-এর দশক থেকে ৭১ পর্যন্ত জনগণের অধিকারের যে সংগ্রাম তার প্রতিফলন ঘটেছে ৭২-এর সংবিধানে। ৭২-এর সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাঠামোগত রূপ। ৫ম ও ৭ম সংশোধনী দিয়ে ৭২-এর সংবিধানকে ভাঙ্গা হয়েছিল। এ কাজে যারা যুক্ত ছিল তারা অপরাধী। তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন”। ----ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম
গত দুই দশকের সংগ্রামের মূল দাবি ছিল ৭২-এর সংবিধান পুন:প্রতিষ্ঠা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে যাওয়া মানে রাষ্ট্রের কাঠামোতে ৭২-এর সংবিধান পুন:প্রতিষ্ঠা করা। একটি চক্র ৭২-এর সংবিধান পুন:প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ------রাশেদ খান মেনন
মুক্তিযুদ্ধ কখনো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এ সংগ্রামের সাথে জড়িয়ে ছিল জাতীয় চেতনা আর এর প্রতিফলন ঘটেছে ৭২-এর সংবিধানে। মূল কথা হলো ৭২-এর সংবিধানে আমাদেরকে ফিরে যেতেই হবে। এর বিকল্প কোনো পথ নেই।--- হায়দার আকবর খান রনো
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জনগনের মধ্যে যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিলো, তা আজও পূরন হয়নি; উপরন্ত মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলো একে একে ধ্বংস হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে চলছে নির্লজ্জ্ দলীয়করন। মুক্তিযুদ্ধের লিখিত ইতিহাসে ন্যাপ-কমিউনিষ্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন তথা বামপন্থীদের বীরত্বপূর্ন সংগ্রামকে অনুপস্থিত রাখা হয়েছে সুকৌশলে। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কেনা-বেচা চলছে। ’৭২ এর সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙ্গালী জাতীয়বাদ ও সমাজতন্র গৃহীত হয়েছিলো। সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র ছেঁটে ফেলা হয়েছে অনেক আগেই। জাতীয়তাবাদের সাথে ধর্মের মিশ্রণ ঘটিয়ে জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞাকেই বদলে ফেলা হয়েছে। আর গণতন্ত্রের বেহাল অবস্থাতো সহজেই অনুমেয়।
’৯০- এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিলো, সে সম্ভাবনাকে ধ্বংস করতে এতটুকুও কার্পন্য করেনি আওয়ামীলীগ-বিএনপি সরকার। সরকার বিশ্বব্যাংক-আই.এম.এফ’র প্রেশক্রিপশনে দেশ চালাচ্ছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির হিংস্র থাবায় বিপন্ন আমাদের জাতীয় অর্থনীতি। সাম্রাজ্যবাদনির্ভর ধনবাদী ধারার বিকাশের ফলে অবাধ লুটপাট চলছে। ঋনখেলাপীরাই দেশের নিয়ন্ত্রক। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে জাতীয় সম্পদ তেল-গ্যাস-বিদ্যুত-বন্দর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের হাতে তুলে দেবার পাঁয়তারা এখনও চলছে। বিশ্বব্যাংকের নির্দেশে কয়েক হাজার কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যাচ্ছে এবং অসংখ্য কারখানা বন্ধ হওয়ার অপেক্ষায়। কৃষকের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে এনজিও’দের মহাজনী শোষণে। হাইব্রীড বীজের মাধ্যমে আমাদের কৃষিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। রাজনীতিতে চলছে দুবৃত্তায়ন, বানিজ্যিকীকরন। আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বৈষম্যমূলক সাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি। বাজারী সংস্কৃতি প্রতাপে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি আজ হুমকির সম্মুখীন। জাতীয় গনমাধ্যম রেডিও-টিভি আজও স্বায়ত্তশাষনের মুখ দেখতে সমর্থ হয়নি। গণ আদালতের গণ রায় এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, সাজা হয়নি যুদ্ধাপরাধীদের।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি (গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙ্গালী জাতীয়বাদ ও সমাজতন্র) পূনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংখ্যালঘু জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সংখ্যালঘু জাতিসত্তার উপর সকল নিযাতন-বৈষম্য বন্ধ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশের কৃষক-শ্রমিক তথা আপামর জনগনের স্বার্থ রক্ষা তথা একটি সমৃদ্ধশালী সমাজ গড়ার সুন্দর স্বপ্নপূরন করতে ও ৭১’ এর শহীদদের স্বপ্নও বাস্তবায়ন করতে ‘৭২ এর সংবিধান পূণ:স্থাপন হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরার পথে অন্যতম প্রধান কাজ।